আর্থ চ্যাম্পিয়ন্স প্রোগ্রাম (ইসিপি)– বাংলাদেশ ইয়ুথ এনভায়রনমেন্টাল ইনিশিয়েটিভ (BYEI) এর সিগনেচার ফেলোশিপ প্রোগ্রাম যা আমাদের প্রাণ, প্রকৃতি এবং পরিবেশগত ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে তরুণদের প্রস্তুত করে থাকে। এই প্রোগ্রামের মাধ্যমে একদল স্বপ্নবাজ তরুণ আগামীতে পরিবেশ এবং প্রতিবেশ সুরক্ষায় তাদের জ্ঞান ও দক্ষতার সমন্বয়ে নেতৃত্ব দিবে একটি সুন্দর, সমৃদ্ধ এবং বৈষম্যহীন বাংলাদেশ বিনির্মাণে।

আবেদনের শেষ সময়: ২ নভেম্বর, ২০২৪

প্রোগ্রাম এর বিষয়সমূহ

শিক্ষাগ্রহণ

নির্বাচিত ফেলো’রা একবছর মেয়াদী ধারাবাহিক এবং ব্যতিক্রমধর্মী একটি শিক্ষাক্রমের মধ্য দিয়ে যাবেন যেখানে তাদের জন্য থাকবে প্রশিক্ষণ, মেন্টরশিপ এবং পরিবেশ বিষয়ে জ্ঞানচর্চার সুযোগ।

নেতৃত্ব চর্চা

নির্বাচিত ফেলো’রা নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানে আর্থ ক্লাব প্রতিষ্ঠা করে বা ঐ প্রতিষ্ঠানে পূর্বে আর্থ ক্লাব থেকে থাকলে সেখানে যুক্ত হয়ে নিজেদের কার্যক্রম পরিচালনা করবে।

বাস্তবায়ন

ফেলো'রা একটি পরিবেশ সুরক্ষা বিষয়ক প্রজেক্টের পরিকল্পনা তৈরি ও নিজ এলাকায় বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে নিজেদের পরিবেশ বিষয়ক জ্ঞান ও নেতৃত্বের দক্ষতার প্রতিফলন ঘটাতে পারবেন।

সুবিধাসমূহ

ইসিপি ২০২৪ এর রূপরেখা

অক্টোবর - ডিসেম্বর ২০২৪

ফেলো নির্বাচন

প্রাপ্ত আবেদনসমূহের মধ্যে প্রতিযোগিতামূলক নিরীক্ষার মাধ্যমে ৩৫ থেকে ৪০ জন ফেলো’কে নির্বাচন করা হবে

ডিসেম্বর ২০২৪ /জানুয়ারি ২০২৫

আর্থ ক্যাম্প

ডিসেম্বর মাসের শেষের দিকে বা জানুয়ারি মাসের প্রথমদিকে ৫ দিনব্যাপী আবাসিক আর্থ ক্যাম্প এর আয়োজন করা হবে। পাশাপাশি প্রশিক্ষণপ্রার্থীরা পরিবেশগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ফিল্ড ভিজিটের সুযোগ পাবে যাতে করে তারা হাতে কলমে শিক্ষা এবং অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারে।

জানুয়ারি - ফেব্রুয়ারি ২০২৫

জ্ঞানমূলক সেশন

আর্থ ক্যাম্পের পর প্রাপ্ত ধারণা এবং জ্ঞানসমূহ নিয়ে পরবর্তীতে অনলাইন সেশনের আয়োজন করা হবে। এতে করে পরিবেশগত বিভিন্ন তত্ত্ব, তথ্য এবং ধারণা সম্পর্কে আরো গভীর আলোচনার ও জানার সুযোগ থাকবে।

মার্চ - জুন ২০২৫

আর্থ ক্লাব প্রতিষ্ঠা

ফেলো’রা তাদের নিজ নিজ অনুষ্ঠানে আর্থ ক্লাব গঠন করবে কিংবা পূর্ব বিদ্যমান আর্থ ক্লাব থাকলে সেখানে যোগদান করবে। এই প্রক্রিয়ায় প্রশিক্ষণার্থীরা BYEI থেকে ফান্ডিং, পরামর্শ এবং প্রয়োজনীয় নির্দেশনা পাবে।

মে - আগস্ট ২০২৫

পরিবেশ সুরক্ষা বিষয়ক প্রজেক্ট

এই সময়ের মধ্যে ফেলো’দেরকে পরিবেশ সুরক্ষা বিষয়ক একটি অ্যাকশন প্রজেক্ট গ্রহণ এবং সম্পাদন করতে হবে। এক্ষেত্রে তারা নিজ নিজ কমিউনিটিতে বিদ্যমান একটি পরিবেশগত সমস্যা কে চিহ্নিত করে সেটি সমাধানে কাজ করবেন।

সেপ্টেম্বর ২০২৫

সমাবর্তন অনুষ্ঠান

যেসব ফেলো’রা উল্লেখিত এক বছরব্যাপী চলমান প্রত্যেকটি ধাপ সফলভাবে সম্পন্ন করবেন তারা উক্ত সমাবর্তন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সফলভাবে ফেলারশিপ শেষ করার সার্টিফিকেট বা সনদপত্র অর্জন করবেন।

কারা আবেদন করতে পারবেন

পূর্ববর্তী ফেলোদের কার্যক্রম

রংপুর

ঢাকা

রাজশাহী

বরিশাল

সিলেট

ময়মনসিংহ

খুলনা

চট্টগ্রাম

জিজ্ঞাসা

আমি বর্তমানে আমার তৃতীয় বর্ষে পড়ছি। আমি কি আবেদন করার যোগ্য?

হ্যাঁ, তৃতীয় বর্ষের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা আবেদন করার যোগ্য, তবে ইসিপি ২০২৪ কোহর্টের জন্য প্রথম এবং দ্বিতীয় বর্ষের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। তৃতীয় বর্ষের আবেদনকারীদের বিশেষ বিবেচনায় অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে।

আমি আমার এইচএসসি/এ লেভেল/সমমান শেষ করেছি কিন্তু এখনও বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হইনি। আমি কি আবেদন করতে পারি?

না। যে সমস্ত ছাত্রছাত্রীরা তাদেরএইচএসসি/এ লেভেল/আলিম বা সমমানের লেভেল পাস করেছে কিন্তু আবেদনের সময়সীমার মধ্যে স্নাতক প্রোগ্রামে/বিশ্ববিদ্যালয়ে হয়নি তারা ইসিপি ২০২৪-এ আবেদন করার যোগ্য নয়। আপনি ইসিপি ২০২৫- এর জন্য আবেদন করতে পারেন।

প্রোগ্রামের জন্য কতজন অংশগ্রহণকারী নির্বাচন করা হবে?

ইসিপি ২০২৪ কোহর্টের জন্য, BYEI সারা বাংলাদেশ থেকে প্রতিযোগিতামূলকভাবে ৩৫-৪০ জন ফেলো নির্বাচন করবে। আমরা সমান সংখ্যক পুরুষ ও মহিলা ফেলো নির্বাচন করার লক্ষ্য রাখি।

আর্থ ক্লাব গঠন কি বাধ্যতামূলক?

হ্যাঁ। আর্থ ক্যাম্পের সফল সমাপ্তির পর প্রতিটি ফেলোকে তাদের নিজ নিজ বিশ্ববিদ্যালয়/কলেজে একটি আর্থ ক্লাব গঠন করতে হবে। যদি ইতিমধ্যেই তাদের নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানে আর্থ ক্লাব থাকে, তাহলে তাতে ইসিপি ফেলোদের সক্রিয় অংশগ্রহণ বাধ্যতামূলক।

প্রোগ্রামের খরচ কত? আমাকে কত টাকা দিতে হবে?

ফেলোশিপের জন্য মোট খরচ ১ লক্ষ টাকা- যার মধ্যে রয়েছে টিউশন, খাবার, বাসস্থান, ভ্রমণ, ফিল্ড ভিজিট, প্রকল্প এবং ক্লাবের জন্য অনুদান। এই বছরের ফেলোশিপের সম্পূর্ণ খরচ BYEI প্রদত্ত বৃত্তির আওতায় বহন করা হবে।

আমি নির্বাচিত হলে আমি কি কোন টাকা পাব?

ফেলোরা তাদের প্রকল্পের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন এবং আর্থ ক্লাব গঠনের জন্য অনুদান পাবেন, তবে নির্বাচিত হওয়ার জন্য কোন অর্থ দেওয়া হবে না। তবে ফেলোশিপের সমস্ত খরচ বৃত্তির আওতায় বহন করা হবে।

আর্থ ক্যাম্প কোথায় অনুষ্ঠিত হবে?

৫ দিনব্যাপী আর্থ ক্যাম্প একটি আবাসিক ভেন্যুতে অনুষ্ঠিত হবে। এর আগের ক্যাম্পগুলো হয়েছিল চট্টগ্রাম, গাজীপুর, সিলেট এবং সাভার, ঢাকায়। ইসিপি ২০২৪ এর আর্থ ক্যাম্পের ভেন্যুটি ডিসেম্বর, ২০২৪ এ নির্বাচিত ফেলোদের জানানো হবে।

আর্থ ক্যাম্প কবে অনুষ্ঠিত হবে?

সম্ভাব্য আর্থ ক্যাম্প ডিসেম্বর ২০২৪/জানুয়ারি ২০২৫ এ অনুষ্ঠিত হবে। সঠিক সময়কাল  ডিসেম্বরের শুরুতে নির্বাচিত ফেলোদের সাথে যোগাযোগ করা হবে।

আর্থ ক্যাম্পে অংশগ্রহণ কি বাধ্যতামূলক?

হ্যাঁ। আর্থ ক্যাম্পে অংশগ্রহণ বাধ্যতামূলক, কেউ ক্যাম্প শেষ না করে ইসিপি ফেলো হিসেবে গ্রাজুয়েট হতে পারবেন না।

কিভাবে অংশগ্রহণকারীদের নির্বাচন করা হবে?

লিখিত আবেদনের ভিত্তিতে অংশগ্রহণকারীদের নির্বাচন করা হবে, এবং বাছাই করা প্রার্থীদের জন্য একটি সাক্ষাৎকার  এবং প্রয়োজন অনুসারে অন্য প্রক্রিয়ায় মূল্যায়ন করা হতে পারে। আমরা বাংলাদেশে পরিবেশ ও জলবায়ু ন্যায়বিচারের পক্ষে অবস্থান নেওয়ার সম্ভাবনা এবং প্রেরণা নিয়ে বিভিন্ন আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপট থেকে আগত তরুণদের খুঁজছি।

আমি কি প্রোগ্রামে যোগদানের জন্য কোনো সার্টিফিকেট পাব?

হ্যাঁ। ফেলোশিপ প্রোগ্রাম সফলভাবে সমাপ্ত হলে, সমস্ত ফেলো একটি গ্রাজুয়েশন অনুষ্ঠানে স্বীকৃত হবে এবং সার্টিফিকেট পাবে।

প্রোগ্রামের জন্য ভাষার মাধ্যম কী হবে? আমাকে কি ইংরেজিতে দক্ষ হতে হবে?

না, প্রোগ্রাম প্রাথমিকভাবে বাংলায় পরিচালিত হবে। তবে যেখানে উপযুক্ত, সেখানে ইংরেজিও ব্যবহার করা হবে।

আরও বিশদ তথ্যের জন্য, অনুগ্রহ করে [email protected] এ লিখুন বা +880 1601-445679 এ কল করুন

আয়োজক

বাংলাদেশ ইয়ুথ এনভায়রনমেন্টাল ইনিশিয়েটিভ (BYEI) বাংলাদেশী তারুণ্যের ক্ষমতায়ন ও শিখনের মাধ্যমে একটি সমৃদ্ধ ও ন্যায়পরায়ণ বাংলাদেশ নির্মাণের জন্য কাজ করতে উদ্বুদ্ধ করার লক্ষ্য নিয়ে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। আমরা বিশ্বাস করি, সচেতনতা, সক্ষমতা এবং অনুপ্রেরণা নিয়ে নতুন প্রজন্মের প্ল্যানেটারি স্টুয়ার্ডরা আরও ন্যায্য এবং টেকসই বাংলাদেশের স্বপ্নকে বাস্তবে রূপান্তর করতে পারবে।